ছোট বেলায় বইয়ে পড়া সুনির্মল বসুর কবিতার একটা লাইনে মনে হয় আমি আটকে গেছি।
“পাহাড় শিখায় তাহার সমান – হই যেন ভাই মৌন-মহান,”
আসলে কি আছে এই পাহাড়ে যা বার বার টেনে নিয়ে যায় তার কাছে, ভালো, কিংবা খারাপ সময়ে? পৃথিবীতে লক্ষ্য লক্ষ্য জীবের মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা আবার এই মানুষের জীবনেই দুশ্চিন্তা, পিছিয়ে পরা, ব্যার্থতা ডিপ্রেশনের মত জিনিস গুলো চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা।
জীবনের একটু সস্তির আশায় ভবিষ্যতের একটা ভালো সময়ে থাকার যে নিরন্তর লড়াইটা সেটা সারাজীবনের। আসলে ভালো থাকার সংগা টা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। আজকের দিনটা সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে পারলেইনা কেবল আগামী দিনের সকালটা দেখা যাবে। আসলেই কি জীবনটা অনেক কঠিন? কিসের জন্য এত ছুটাছুটি, নিয়ম কানুন, ক্লাস, অফিস, কর্পোরেট, স্ট্যাটাস, পাকা দালান, গাড়ি, চকচকে লাইফস্টাইল এসবের পিছনে ছুটে জীবনটাকে আমরাই কঠিন করে ফেলছিনাতো?
আমরা কি আমাদের জীবন কেবলি যাপন করি? না উপভোগ? আমরা কিসের পিছনে ছুটি এর উত্তরটা কি আমরা জানি? যদি সেই জিনিসটা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের ছোটা কি বন্ধ হবে নাকি নতুন করে অন্যকিছু পাবার আশায় আবার শুরু হবে ছোটাছুটি? আমরা কি জানি কোথায় এসে দাঁড়িয়ে যেতে হবে, বুক ভরে নিঃশ্বস নিয়ে আবার পথ চলা শুরু করতেH হবে? কোন বই কিংবা কোন ক্লাশ রুম অথবা কোন অপারেশন ম্যেনুয়্যাল একটা শেখাতে পারে কি? হয়তো না।
কিন্তু এগুলোর সমস্ত আছে প্রকৃতিতে কেননা এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপদানের সমন্বিত রূপ টাই আমি , তার আমাদের সমস্যার সকল সমাধান এতেই অন্ত নিহিত আছে। কাছে যাই, দেখি, শিখি, মিশেযাই, শুধ্রেনেই আর উপভোগ করি জীবনকে। মৌন-মহান পাহাড়ের ন্যায় সকল বাধাকে নিচে ফেলে দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলতে পারি জীবন সুন্দর।